লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম শনিবার লেবাননের প্রকাশনা "এখতেরাত"র প্রথম সংখ্যার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হিজবুল্লাহ লেবাননের অভ্যন্তরে এবং সকল স্তরে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর আন্দোলন যে অন্যান্য মিত্র এবং তাদের প্রতিনিধিদের সাথে সহযোগিতায় কাজ করে চলেছে এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে লেবাননের অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে। পার্সটুডে-র মতে,এই সাক্ষাৎকারে তিনি দেশের অর্থনৈতিক উত্থানের জন্য লেবাননের বিভিন্ন ধারা, দল এবং গোষ্ঠীর অংশীদার এবং মিত্রদের সাথে সহযোগিতা, ইহুদিবাদী শাসনের আক্রমণের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ পুনর্নির্মাণ, আমানতকারীদের সম্পত্তি ফেরত দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং দেশে আইনের শাসনের অখণ্ডতার উপর জোর দিয়েছেন।
শেখ নাইম কাসেম আরও বলেন, "আমরা একটি মুক্তি প্রকল্প হিসেবে প্রতিরোধের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার চেষ্টা করি এবং আমরা সকল ধরণের দখলদারিত্ব,শরণার্থী বসতি স্থাপন এবং ইহুদিবাদী সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণকে প্রত্যাখ্যান করি।" আমাদের অঞ্চল আমেরিকার অত্যাচার ও ঔদ্ধত্যের পাশাপাশি ইহুদিবাদী শাসনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
তিনি ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা এবং আরব শাসনব্যবস্থার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যকে বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি স্বার্থকে ধ্বংস করার লক্ষ্য বলে মনে করেন।
যুদ্ধের সাম্প্রতিক পর্যায়ের পর লেবানন সম্পর্কে হিজবুল্লাহর মূল্যায়ন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সমস্যাগুলো মূল্যায়ন করা এবং উদ্ভূত ফাঁকগুলো তদন্ত করা আমাদের কর্তব্য। এছাড়া এটি শহীদ, আহত, বন্দী, প্রতিরোধের উপাদান এবং এর জনমতের প্রতি আনুগত্যের অংশযাতে ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা নেওয়া যায়।
লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব আরও বলেন, 'এই মূল্যায়নগুলোতে ব্যাঘাতের বিষয়গুলো এবং ব্যক্তিগত দায়িত্বগুলো চিহ্নিত করা হয় এবং নীতি,কাজের পদ্ধতি এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং কর্মসূচিগুলোও পর্যালোচনা করা হয়।'
এই লেবানিজ প্রকাশনার সাথে সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাকালীন নীতি এবং প্রতিরোধের অগ্রাধিকার নিশ্চিত, এবং এই নীতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত পথ ব্যবহার করা হবে এবং অতীতের ঘটনাগুলোও মূল্যায়নের ফলাফলের ভিত্তিতে পর্যালোচনা এবং সমন্বয় করা যেতে পারে।#
342/
Your Comment